ডুলাহাজারা প্রতিনিধি :::
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ হোসেন নামক যুবক নিহত হয়েছে। এঘটনায় ঘাতক আহমদ হোসেন প্রকাশ ভেট্টুকে আটক করেন পুলিশ।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ডুমখালী মিঠাছড়ি গ্রামে এঘটনাটি ঘটে।
সুত্রে জানা যায় ওই দিন সকালে স্থানীয় ডুমখালী খেলার মাঠ সংলগ্ন চায়ের দোকানে পাওনা টাকার জের ধরে মোহাম্মদ হোসেন ও সন্ত্রাসী ভেট্টুর মাঝে বাকবিন্ডা হয়। এক পার্যায়ে ভেট্টুর ছুরিকাঘাতে ডুমখালী গ্রামের জহির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৪২) গুরুতর আহত হয়। স্থানিয়রা আহতকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
অপরদিকে ঘাতক আহমদ হোসেন ভেট্টু খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার সহাতায় স্থানীয় প্রশাসন তাকে আটক করেন। পরে চকরিয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন ঘাতককে। সন্ত্রাসী আহমদ হোসেন ভেট্টু উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামের মৃত আলতাজ আহমদের পুত্র ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
মৃত্যুকালীন তার ২ সন্তান ও এক স্ত্রীকে রেখে দিন-দুপুরে খুন হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান , খুনি ভেট্টু আদম প্রচারের পৃথক পৃথক ২টি মামলার আসামী। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানা ও আদালতে আরো ডজন খানেক বিভিন্ন অপরাধের মামলা আছে বলে উল্লেখ করেন এলাকাবাসী। এলাকার সচেতন মহল জানান, খুনি ভেট্টু এ সমস্ত অপরাধ করে যদি আইনের হাত থেকে পার পায় তাহলে সে আরো বেশী অপরাধ করতে দ্বিধা করবেনা। এতে এলাকাবাসীর দাবী তার সমস্ত অপরাধ জড়ো করে আইনের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করেন। দিন-দুপুর খুনি ভেট্টু বাহিনীতে আরো তার চেয়ে ভয়ংকর অস্ত্রধারী সন্ত্রাস আছে তাদের বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ৩০/৩২ জন বলে এলাকাবাসী-অত্র ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা মন্তব্য করেন। মুঠোফোনে এ খুনের খবর সংশ্লিষ্ট থানার অফিসারকে অবগত করেন অত্র ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত উসমান ও রফিক উদ্দীন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত কামরুল আজম বলেন ‘হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘাতককে আটক করা হয়েছে এবং আটক ভেট্টুকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।’
পাঠকের মতামত: